যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের হাডসন নদী থেকে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে হাডসন নদী থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে উমাইর সালেহ (২৩) নামের একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান তরুণ রয়েছেন।
প্রথমে মরিস খাল পার্কের কাছে পানিতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে একজন পথচারী তা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একজন নারীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এদিকে, এ ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে মরিস খালের কাছে আরেকটি মরদেহ ভাসছে বলে খবর পায় পুলিশ। পূর্বে স্থান থেকে প্রায় ৫০ ফুট দূরে এ মরদেহটি ভাসতে থাকে।
জানা যায়, মরিস ক্যানেল পার্কের ৫০ ফুট দূরে হাডসন নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পথচারীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ উদ্ধার করার পর দেখতে পায় যে সেটি এক তরুণের মৃতদেহ। তার পকেটে থাকা পরিচয়পত্র দেখে জানা যায় যে, তার নাম উমাইর সালেহ বয়স ২৩, নিউ জার্সির এডিসন শহরে তার বাড়ি। তার পরিবারকে খবর দেয়া হলে তারা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তার মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের এডিসন শহরের বাসিন্দা বাংলাদেশি ওই তরুন কে খুন করে কেবা-কারা নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এদিকে, শনিবার সকালে জার্সি সিটির মরিস ক্যানেল পার্কের অদূরে হাডসন নদীতে এরও একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন এক পথচারী। তিনি ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ সেখানে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। সেটি ছিল এক তরুণীর মৃতদেহ, যার বয়স আনুমানিক ২২ বছর। মেয়েটি নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বাসিন্দা । তার প্রকৃত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
উমায়ের সালেহর মা একজন অভিবাসী বাংলাদেশি এবং তিনি স্কুলে শিক্ষিকতা করেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তার মেধাবী ছেলে নিউ জার্সির রাটগার্টস ইউনিভার্সিটি থেকে এ বছরই প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ গ্রাজুয়েশন করেছে। শনিবার বিকেলে সে হাঁটতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফেরেনি। সালেহ সাঁতার জানতো বলেও জানায় তার মা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের মধ্যবর্তী নদীটির নাম হাডসন। এই নদীর পূর্বপাশে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন নগরী এবং পশ্চিম তীরে নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের জার্সি সিটি। প্রচুর পরিমান বাংলাদেশি সেখানে বাস করছেন।